এবার ভারতের জম্মু-কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ভোট শেষে এ সিদ্ধান্ত নিলো দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে গত পাঁচ বছর আগে জারি হওয়া রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আর এমন নির্দেশের পরেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সরকার গঠনের পথ পরিষ্কার হলো বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যায়, আগামী সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন ওমর আবদুল্লাহ। জম্মু-কাশ্মীরের ৯০ আসনের বিধানসভা আসনে গত কয়েকদিন আগেই ভোট হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর পর এই নির্বাচন হয়। স্বভাবতই এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল অনেক বেশী। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস এবং ন্যাশানাল কনফারেন্স জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়। এরপরই ওমর আবদুল্লাহ লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানালে জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।
গত ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়। মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে জম্মু এবং কাশ্মীরের সরকার তৈরি করে। কিন্তু একাধিক ইস্যুতে দুই দলের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়। এই অবস্থায় গত ২০১৮ সালে বিজেপি তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় ওই রাজ্য থেকে। এরপরই জোট সরকার পড়ে যায় এবং মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়।
এই রাষ্ট্রপতি শাসনের মধ্যেই ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করেন মোদী সরকার। যা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করে প্রশাসন। কার্যত দীর্ঘ সময় জম্মু ও কাশ্মীরে জারি থাকা রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার বিভিন্ন দাবি উঠেছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে এবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হলো।